রাণী ভবানী সরকারি মহিলা কলেজ, নাটোর-এর সংক্ষিপ্ত ইতিহাস

রাণী ভবানী সরকারি মহিলা কলেজ, নাটোর

স্থাপিত১৯৭৩

বর্তমান অধ্যক্ষ : প্রফেসর আবু হাসনাৎ মোঃ রফিকুল ইসলাম​

ঠিকানা: শুকুলপট্টি, নিাটোর সদর, নাটোর

ওয়েব সাইট: www.rbgwc.edu.bd

ঐতিহ্যবাহী নাটোর জেলার মেয়েরা যাতে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করে এগিয়ে যায় সে লক্ষ কে সামনে রেখে আজ থেকে প্রায় পাঁচ দশক পূর্বে স্থানীয় শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিবর্গ বিশেষ করে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ জনাব শফিউদ্দিন সরদার এর প্রচেষ্টায় এবং কলেজের প্রথম অধ্যক্ষ জনাব ময়েজ উদ্দিন আহমেদ এর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে নাটোরের তৎকালীন গভর্নর জনাব শংকর গৌবিন্দ চৌধুরীর পৃষ্ঠপোষকতায় এই কলেজটি ১৯৭৩ সালে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। নির্দিষ্ট জায়গা না থাকায় কখনো নাটোর রেল স্টেশনের নিকট বাড়ি ভাড়া করে, কখনো বা শুকুলপট্টিতে আবার কখনো কানাইখালীর নারোদ নদের তীরে কলেজের কার্যক্রম চলতে থাকে।

পরবর্তী কালে নাটোরের তদানিন্তন এসডিও জনাব মোঃ আবু হাফিজ সাহেব এব উদ্যোগে ১৯৮১ বা ১৯৮২ সালের দিকে বর্তমান শুকুলপট্টির সিংহ তোরণ খচিত প্রবেশদ্বার বেষ্টিত জমিদার বাড়িতে স্থানান্তরিত হয় এবং অর্ধবঙ্গেশ্বরী খ্যাত রাণী ভবানীর নামে এই কলেজটি নামকরণ করা হয়।
কলেজ প্রতিষ্ঠার প্রথম দিকে শুধু উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণিতে মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগে পাঠদান করা হতো। ১৯৮১ সালে উচ্চ মাধ্যমিক বিজ্ঞান ও স্নাতক (পাস) কোর্স চালু হয়। এরপর ১১/০৫/১৯৮৯ সালে কলেজটি জাতীয়করণ করা হলে এর অগ্রযাত্রা প্রসারিত হতে থাকে।

২০০৫-২০০৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে শুধু ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ে অনার্স কোর্স চালু হয়। ২০১৪-২০১৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে বাংলা, সমাজকর্ম, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, হিসাববিজ্ঞান ও মার্কেটিং সহ মোট ৫ (পাঁচ) টি বিষয়ে অনার্স কোর্স চালু হয়। বর্তমানে মোট ৬ (ছয়) টি বিষয়ে অনার্স কোর্স চালু আছে। শিক্ষার্থীর আসন সংখ্যা – ৫,২৩০। শিক্ষকদের পদসংখ্যা – ৩৩ এবং কর্মচারীর পদসংখ্যা – ১৮।

নানামুখী প্রতিকূলতা থাকা সত্ত্বেও অর্ধবঙ্গেশ্বরী খ্যাত রাণী ভবানীর নামে প্রতিষ্ঠিত এই কলেজটি নাটোরের বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিবর্গের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় যে বিদ্যাপীঠটি অঙ্কুরিত হয়েছিল তা এখন সরকারি অকৃপণ পৃষ্টপোষকতায় ফলবাহী মহীরূহে পরিণত হয়ে জ্ঞান ও নারী শিক্ষা বিস্তারে অসাধারণ ভূমিকা রেখে চলেছে।

নারী শিক্ষার আলোক বর্তিকা বহনকারী রাণী ভবানী সরকারি মহিলা কলেজ আজ নাটোর জেলার তথা চলনবিল বেষ্টিত উত্তর বঙ্গের মেয়েদের কাছে শিক্ষার এক প্রশস্ত আঙ্গিনা। একাডেমিক কার্যক্রম, বোর্ড ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলাফলসহ বিজ্ঞান, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ক্রীড়াঙ্গণে কলেজটির পদচারণা সর্বমহলে প্রশংসিত।